দৌলতখানে হালিমা খাতুনমহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল ও অফিস সহকারীর

দৌলতখানে হালিমা খাতুনমহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল ও অফিস সহকারীর

বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ ——
ভোলার দৌলতখান উপজেলার (বাংলাবাজার টু দৌলতখান রোডে) অবস্থিত হালিমা খাতুন কলেজের প্রিন্সিপাল নুরে আলম ও অফিস সহকারী আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী ও ঘূষ বাণিজ্যের ব্যাপক অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাংবাদিকদের ক্যামারার সামনে ভূক্তভোগী চরপাতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের প্রিয় লাল হাওলাদারের মেয়ে ডলি রানি জানায়, সে হালিমা খাতুন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর অন্য কলেজে ভর্তি ও চাকুরির জন্য তার সার্টিফিকেট ও প্রসংশা পত্র জরুরী। এ জন্য সে কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে আবেদ করলে সে অফিস সহকারী কাশেমকে দিয়ে ডলির কাছে ২ হাজার টাকা দাবী করে। দিনমজুর পরিবারের মেয়ে ডলি এ টাকা দিতে আপত্তি করলে প্রায় তিন মাস যাবৎ ভোগান্তির মধ্যে পরতে হয় ডলিকে। একটা পর্যায়ে ডলি ১১শত টাকা জোগার করে কাশেমের হাতে দেয়। এসময় কাশেম ডলিকে সার্টিফিকেটটি প্রদান করলেও আটকিয়ে রাখে প্রসংসা পত্র। এর জন্য পূণরায় আবার প্রিন্সিপালের যোগসাজসে টাকা দাবী করে অফিস সহকারী আবুল কাশেম। প্রসংসাপত্রের জন্য ডলি বার বার কলেজে যাওয়া আসা করলে একটা পর্যায়ে কাশেম ডলিকে কু-প্রস্তাব দিয়ে বলে টাকা দিতে না পারলে আমাকে খুশি করতে হবে। এ বিষয়টি ডলি তার গার্ডজিয়ানদের জনালে তারা ভোলার এক সাংবাদিকের স্মরনাপন্ন হয়। সাংবাদিকরা এ বিষয়টি প্রিন্সিপাল ও অফিস সহকারী কাশেমের কাছে জানতে চাইলে ওই মুহুর্তে তারা সাংবাদিকদের সাথে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে।
প্রিন্সিপাল নুরে আলম ও আবুল কাশেমের ব্যপারে ওই কলেজের শিক্ষার্থী সেতু, আরিফা, মীম, হাসনুর, চন্দ্রাসহ অনেকে জানায়, পরীক্ষা দিতে ফরম ফিলাবের জন্য প্রিন্সিপাল শিক্ষাথীদের কাছে থেকে ৫/৬ হাজার টাকা কেরে হাতিয়ে নেয়। অন্যদিকে কেউ পাশ করে অন্য কলেজে অথবা চাকুরিতে চেলে যেতে চাইলে, মোটা অংকের টাকা ছাড়া তাদের সার্টিফিকেট দেয়া হয় না। ওই এলাকার আমির হোসেন, লোকমান ফারাজী, আবদুল খালেক, আনোয়ার হোসেন, খাদিজা বিবিসহ আরো অনেকে জানান, প্রিন্সিপাল ও কাশেম বিভিন্ন কৌশল করে ছাত্র ছাত্রীদের উপ-বৃত্তির টাকা আত্মসাত করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। তারা প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উপ-বৃত্তির বাবৎ ৭০০ টাকা করে হাতিয়ে নেয়। এমনকি কলেজের প্রতিটা শিক্ষার্থীদের প্রিন্সিপালের কবজায় রাখার জন্য সে বাংলাবাজারে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের একটি এজেন্ট ব্যংকিং শাখা চালু করেছে। এবং সেখানে সকাল ছাত্র ছাত্রীদের উপ-বৃত্তির টাকার একাউন্ট করেছে বাধ্যতামূলক। আরো আসছে আগামী পর্বে-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *