মাটি মামুনঃ
রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা এলাকায় অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার হওয়া মাদ্রাসা ছাত্রের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্র হাসান (১২) রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বারঘরিয়া গ্রামের চানাচুর বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র।
হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত হাসানের সাবেক দুলাভাই নুরআলম ও জাহেদুল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গত ১৬ আগষ্ট (মঙ্গলবার) হারাগাছ থানার এলাকা সারাই বকুলতলা নামক স্থানের রেললাইনের পাশে ডোবা থেকে অজ্ঞাত হিসেবে হাসানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের গোপালপুর বারঘরিয়া গ্রামের চানাচুর বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে শিমুর সাথে পার্শ্ববর্তী কুতুবপুর রোস্তমাবাদ গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে নুর আলমের বিয়ে হয়।পরবর্তিতে মনমালিন্য হওয়ায় শিমু তার স্বামী নুরআলমকে তালাক দেয়।বিচ্ছেদের পর থেকে নুর আলম প্রায়ই আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করতেন।
গত শনিবার আইড়মারী হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে হাসানকে কৌশল করে অপহরণ করে নিয়ে যায় নূর আলম।পরে মঙ্গলবার পুলিশ হাসানের লাশ উদ্ধার করে।এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে হাসানের সাবেক দুলাভাই নুরআলম ও জাহেদুল ইসলাম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।পুলিশের একটি সূত্র জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের নূর আলম হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন,হাসানকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ আগষ্ট (বুধবার) সাবেক দুলাভাইসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।পরবর্তীতে ১৮ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।