নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগে প্রায় ২৫ লাক্ষাধিক টাকার টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখার ইউনিয়নের আলিগাও এলাকায়।
জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত কর্ণধার সরকারের ছেলে ছেলে শ্রী সুকমল সরকার ওরফে ভক্ত একজন মৎস্যজীবী। দীর্ঘদিন যাবত তিনি ওই এলাকার সরকারি ৩. ৬০ একর কোচপুকুরটি লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন।
পুকুরটি নেয়ার পর থেকেই একটি চক্র তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জেরে গত১৮ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা রাতের আঁধারে পুকুরটিতে গ্যাস ট্যাবলেট বিষ প্রয়োগ করে।
এতে ওই পুকুরের রেণু ও কাপজাতীয় প্রায় ৪শ মণ মাছ নষ্ট হয়ে যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী দাবি করছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে এবং এনজিওর ঋণের মাধ্যমে তিনি পুকুরটিতে মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। তিনি আশা করেছিলেন মাছ চাষ লাভজনক হবে। মাছ বিক্রি করে ধার-দেনা পরিশোধ করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আসবে। কিন্তু দুর্বৃত্তদের দেয়া বিষে তার শেষ স্বপ্ন হয়ে গেছে।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সুকমলের স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের আহাজারী করতে দেখা যায়। পরিবারটি এখন নিঃস্ব হয়ে পথে বসার শংকা দেখা দিয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সুকমল চন্দ্র সরকার জানান, পুকুরটি লীজ নেয়ার পর থেকেই এলাকার কিছু কুচক্রী মানুষ আমাকে নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকিধানকি প্রদর্শন করে আসছিল। আমার সন্দেহ তারাই এ কাজটি করেছে।
তিনি আরো বলেন পকুরে শফিকুল ও মজিদ নামের দুই ব্যক্তি রাত্রিকালীন ডিউটি করে। তারপরেও কিভাবে এ ঘটনা ঘটল তা বোধগম্য নয়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শ্রী সুকমল চন্দ্র সরকার ওরফে ভক্ত এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট সুষ্ঠু তদন্ত পুর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইমরান চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে জানান, বিষয়টি এখন পর্যন্ত তাকে জানানো হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষী অভিযোগ করলে ওই পুকুরে কী ধরনের বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে।
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।