বাগেরহাট প্রতিনিধি
৩নং রায়েন্দ ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড পশ্চিমা খাদা গ্রামে মানসিক পতিবন্ধী
মোসা:আজিমন নেছা স্বামী আসমত আলী মুন্সী, পৈত্রিকও কবলা মুলে প্রাপ্ত হইয়া সরকার
নিরুপিত কর খাজনা প্রদানে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখলকালে মস্তিষ্ক বিকৃত হইয়া পাগল বেশে চলাফেরা করে। তাহার ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা পেটের দায়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়া কাজকর্ম করে এই সুযোগে এলাকার কিছু কুলাঙ্গার ভূমি দস্যু। তাহার নামীয় জায়গা জমিতে বড়ী ঘর, দোকান ভিটি
করিয়া সম্পুর্ণ অন্যায় এবং বেআইনি ভাবে ভোগ দখল করিতে থাকে। তাহার ছোট ছেলে মোঃ ইমাম হোসেন (২৭) বলেন আমি ২০১৬ সালে বাড়ীতে আসিয়া লোকমুখে উক্ত ঘটনা জনিতে পারি। কাগজপত্র সংগ্রহ করিয়া দেখিতে পাই, বিবাদীরা
যে জমি ভোগ দখল করিতেছে,তাহা আমার মায়ের নামীয় জমি।বিবাদীগনের কছে জিঙ্গাসা করিলে বিবাদীরা আপত্তিজনক কথাবার্তা সহ মারপিটের হুমকি দেয়। ফলে সালিশী জমি নিয়া বিবাদীগনের দ্বারা মারাত্মক কোন ঘটনা বা শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা রহিয়াছে বিবাদীরা কোন শলিস ব্যবস্থা আইনকানুন কিছুই মানে না। উক্ত ঘটনার এলাকার বহু সাক্ষী আছে।গত ১৩/০৬/২০২১ইং তারিখে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর অভিযোগ দায়ের করি বেশ কিছু দিন পর যোগাযোগ করিলে সে আমাকে বলেন আমি কিছু করতে পারলাম না এ কাজে সরকারের কোনো লাভ নাই তুমি আদালতে মামলা দেও আমি
বললাম স্যার আমার মা মানসিক পতিবন্ধী ছিলেন আর পতিবন্ধীর সম্পত্তির দায়িত্ব সরকারের স্যার ভূমি cs/sa রকর্ড আমাদের নামে, BRS রেকর্ড অন্য মানুষের নামে আর BRS রেকর্ড হওয়ার সময় আমরা ছিলাম না স্যার আমাদের প্রতি একটু দয়া করেন আমার মা মানসিক পতিবন্ধী ছিলেন তাই আমরা অসহায় মানবতার জীবন জাপন করিছ স্যার আমি শিশু কাল থেকে অনেক দুঃখে কষ্টে দুর্দশায় মানুষ হয়েছি স্যার আমি এতিম
অসহায় আদালতে মামলা চালানোর মত ক্ষমতা আমার নাই আর আদালতে ভূমি মামলা রায় পেতে ৩০-৪০ বছর সময় লাগে, সারা জীবন এতো কষ্টের পর এখন মামলার বোঝা, স্যার আমরা না খেয়ে মারা যাব, তিনি বলেন থানায় অভিযোগ দেও আমি বললাম স্যার আপনি একটু সুপারিশ করেন। শরনখোলা থানায় অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দিলে বিষয়টির ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, তৎকালীন শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ সাইদুর রহমান বলেন যত বড় ক্ষমতাবান লোক হোক না কেন পতিবন্ধীর জমি জবর দখল করতে পারেনা তুমি আমার উপর ভরসা করতে পার। অভিযোগ দেয়ার পরে বিবাদীরা আমার বাড়িতে হামলা করে ১শাহিদা বেগম (৪০) স্বামী ফারুক ফরাজী ২ মালা বেগম (৩০) স্বামী আঃ আলিম ৩ হালিমা বেগম (৩৫) স্বামী কাওসার মুন্সী ৪ আঃ আলিম ও ৫ জাহানারা বেগম ৫৫। স্বামী ছোমেদ বয়াতী। হামলার ব্যপারে থানায় জানালে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন, কাওসার মুন্সী ও তারা ঐ এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাস ও পকেটমার বিধায় আমাদের জমিজামার জন্য নির্যাতন করে আসছে। জাহানারা বেগম ছলেবলে আমার মায়ের কবলা দলিল আত্বসাৎ করেন এবং আমার মায়ের নামীয় জমি জমা ঘর বাড়ি তাদের নামে রেকর্ড ও জবর দখলে নেয়। প্রতিবেশী হেমায়েত হাওলাদার ( 45) এর সহযোগিতা আমাদের জমি দখলে আছে, আমার মায়ের নামীয় সম্পত্তি দাবি করিলে আমাদের উপর চলে আসে অমানবিক নির্যাতন ও নিপিরন এবং প্রান নাশের হুমকি, আমাদের জীবনের নিরাপত্তার সার্থে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। অতএব আকুল আবেদন এই যে, আমাদের মৌলিক মানবধিকার পুর্ণ প্রতিষ্ঠার জন্য মহামান্য রাষ্টপ্রতি ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রির সহযোগিতা কামনা করছি।