আওলাদে রাসুল ﷺ কে ভালোবাসা এবং মহব্বত করা ওয়াজিব! আল্লাহু পাক পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেনঃ

আওলাদে রাসুল ﷺ কে ভালোবাসা এবং মহব্বত করা ওয়াজিব! আল্লাহু পাক পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেনঃ


قل لااسئلكم عليه اجرا اللا المودة في القربي
অর্থঃ হে হাবীব! আপনি বলে দিন, আমি সেটার (ঈমান ও সৎকর্মের) জন্য তোমাদের (উম্মতদের) নিকট থেকে কোন পারিশ্রমিক চাইনা, কিন্তু নিকটাত্মীয়দের ভালোবাসা চাই।

বোখারী শরীফে হযরত সাঈদ ইবনে জুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; উল্লিখিত আয়াতে নিকটাত্মীয়দের দ্বারা হুজুর বিশ্বকুল সরদার সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্র বংশধর বুঝানো হয়েছে। [তাফসীরে খাযাইনুল ইরফান]
উল্লিখিত আয়াতে কথা শুনে সাহাবায়ে কেরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুম গণ দরবারে রেসালতে আরজ করলেন –
يا رسول الله من قرابتك هولاء اللذين وجبت علينا مو دتهم
অর্থাৎ – হে আমাদের প্রাণের নবী! যাঁদের উপর মহব্বত রাখা আমাদের উপর ওয়াজিব এরা কারা বলুন? তখন ইমামুল আম্বিয়া সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন এরা হলো-
علي وفاطمة والحسن والخسين وابناءهما
অর্থাৎ – এরা হলেন হযরত আলী, ফাতেমা, হাসান, হোসাইন এবং তাঁদের সন্তানগণ।
[তাফসীরে ইবনে আরবী, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-২১২]

নবী বংশের
পবিত্রতা ۞ [ প্রথম পর্ব ]
Written by
RawshanDalil |
★মুহাম্মদ তাহের
হাসান সোলতানী ★
প্রশ্ন: ওলামায়ে দ্বীন
এ মাসয়ালার
ব্যাপারে কি অভিমত
প্রকাশ করেন যে,
যায়েদ নামক
ব্যক্তি বলে,ইসলামের
মধ্যে সকল
বংশ,গোত্র
সমপর্যায়ের । কেউ
কারো থেকে উত্তম
নয় । এ জন্য
সৈয়্যদ,
পাঠান,তেলি,নাপি
ত,ধোপা সবাই এক
সমান ।
অবশ্য পরহেজগার
বা খোদা ভীতির দিক
দিয়ে উত্তম
হতে পারে,তবে বংশের
দিক নয় । সে এমনও
হতে বলে যে,
নিজ আমল ব্যতীত
বাপ-দাদার
খোদাভীরুতাও কোন
কাজ দেবে না । যায়েদ
দলিল
হিসেবে নিম্নোক্ত
আয়াতে করীমা পেশ
করেছে,
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺇِﻧَّﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ
ﻣِﻦْ ﺫَﻛَﺮٍ ﻭَﺃُﻧْﺜَﻰٰ ﻭَﺟَﻌَﻠْﻨَﺎﻛُﻢْ
ﺷُﻌُﻮﺑًﺎ
ﻭَﻗَﺒَﺎﺋِﻞَ ﻟِﺘَﻌَﺎﺭَﻓُﻮﺍ ۚ ﺇِﻥَّ
ﺃَﻛْﺮَﻣَﻜُﻢْ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﺗْﻘَﺎﻛُﻢْ
অনুবাদ:
এবং তোমাদেরকে শাখা-
প্রশাখা ও গোত্র-
গোত্র করেছি,
যাতে পরস্পরের
মধ্যে পরিচয়
রাখতে পারো ।
নিশ্চয়ই আল্লাহর
নিকট তোমাদের
মধ্যে অধিক
সম্মানিত
সেই, যে তোমাদের
মধ্যে অধিক
খোদাভীরু।
[সূরা হুজরাত-১৩]
এভাবে হুজুর করিম
সাল্লাল্লাহু
তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম
ইরশাদ করেছেন-
‘হে ফাতেমা!
আমি তোমার
থেকে আল্লাহর
শাস্তি উঠিয়ে নিতে পারব
না ।’ অপর দিকে ওমর
নামক
ব্যক্তি বলেন যে,
না বরং সৈয়্যদ
বংশীয়রা (আওলাদে রাসুল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামা)
সকল বংশের
মধ্যে উত্তম
এবং সম্মানিত
(মুত্তাকী) বাপ-দাদার
আমল অবশ্যই
সন্তানদের
কাজে আসবে । উভয়ের
মধ্যে কার বক্তব্য
সঠিক তা প্রমান
সহকারে বিস্তারিত
বর্ণনা করুন ।
উত্তর- উপরিউক্ত
উভয় বক্তব্যের
মধ্যে ওমর নামক
ব্যক্তির বক্তব্যই
সঠিক এবং যায়েদ এর
বক্তব্য ভুল
এবং বাতিল ।
সা’দাতে কেরাম
তথা আহলে বাইতে রাসূল
সাল্লাল্লাহু
তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামা এর
মর্যাদা সকল
বংশ ও গোত্রের
চেয়ে উৎকৃষ্ট ও
উত্তম ।
আর মু’মিনদের
মধ্যে যাঁরা সৎকর্মশীল
তাঁদের আমলও
ইন্শাআল্লাহ তাঁদের
সন্তানদের
কাজে আসবে । উভয়
মাসয়ালা কুরআনুল
করীম, বিশুদ্ধ হাদীস
এবং যুক্তির
নিরিখে প্রমাণিত ।
কুরআনে পাকের
প্রামাণ্য দলিল
১. নম্বর দলিলঃ
ﺃَﻟْﺤَﻘْﻨَﺎ ﺑِﻬِﻢْ ﺫُﺭِّﻳَّﺘَﻬُﻢْ ﻭَﻣَﺎ
ﺃَﻟَﺘْﻨَﺎﻫُﻢْ ﻣِﻦْ ﻋَﻤَﻠِﻬِﻢْ ﻣِﻦْ ﺷَﻲْﺀٍ
অনুবাদ: (আল্লাহ্ পাক
বলেন,)
আমি জান্নাতের
মধ্যে মু’মিনদেরকে তাদের
সন্তানদের
সাথে মিলিয়ে দেব
এবং তাদের নেক
আমলে কোন
ঘাটতি করা হবে না।
[সূরা তূর-২১]
এ আয়াতের
মাধ্যমে বুঝা গেল যে,
কিয়ামত
দিবসে নবী করীম
সাল্লাল্লাহু
তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামা এর
মু’মিন
আওলাদগণ
নবী আকরামের
সাথেই থাকবেন । এর
দ্বারা আওলাদে রাসূলের
শ্রেষ্ঠত্বও প্রমাণিত
হল ।
এবং নেককারদের
আমল
যে কাজে আসবে তাও
জানা গেল।
২. নম্বর দলিল-
ﻗُﻞْ ﻟَﺎ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻜُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺃَﺟْﺮًﺍ ﺇِﻟَّﺎ
ﺍﻟْﻤَﻮَﺩَّﺓَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻘُﺮْﺑَﻰٰ
অনুবাদ: হে মাহবুব!
আপনি বলে দিন,
আমি এ (পথ প্রদর্শন
ও ধর্ম প্রচার)’র
বিনিময়ে তোমাদের
নিকট হতে আমার
আহলে বাইত
তথা আওলাদে রাসূলের
ভালোবাসা ব্যতীত
অন্য কোন প্রতিদান
চাই না ।
[সূরা শুরা-২৩]
এ আয়াতের এক
তাফসীরে এমনও
আছে যে,
নবী আকরাম
সাল্লাল্লাহু
তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামা ইরশাদ
করেন,
‘হে উম্মতগণ! আমার
হক্বের কারণে আমার
আওলাদকে ভালবাস।’
তাহলে বুঝা গেল যে,
নবী আকরামের
কারনেই
আহলে বাইতে রাসূলকে ভালবাসা অপরিহার্য,
যা অন্য কোন বংশের
মধ্যে নেই ।
৩. নম্বর দলীল-
ﻭَﺍﻋْﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻧَّﻤَﺎ ﻏَﻨِﻤْﺘُﻢْ ﻣِﻦْ
ﺷَﻲْﺀٍ ﻓَﺄَﻥَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﺧُﻤُﺴَﻪُ
ﻭَﻟِﻠﺮَّﺳُﻮﻝِ ﻭَﻟِﺬِﻱ
ﺍﻟْﻘُﺮْﺑَﻰٰ ﻭَﺍﻟْﻴَﺘَﺎﻣَﻰٰ
ﻭَﺍﻟْﻤَﺴَﺎﻛِﻴﻦِ ﻭَﺍﺑْﻦِ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞِ
অনুবাদ: জেনে রাখ,
গণিমতের সম্পদ
হিসেবে তোমরা যা কিছু
পাবে তার পাঁচটি অংশ
আল্লাহ্, রাসূল,
আহলে বাইতে রাসূল,
এতিম
এবং মিসকিনদের
জন্য।
[সূরা আনফাল-৪১]
তাহলে প্রতীয়মান
হলো যে, নবী-ই
আকরাম
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামার
জামানায়
গণিমতের মালের
মধ্যে আওলাদে রাসূলের
জন্য সম্পূর্ণ
আলাদা একটা অংশ
ছিল ।
ইমাম
শাফেয়ী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি-
এর মতে, শুধু
সে সময় নয়
বরং অদ্যবধি আওলাদে রাসূলগণ
তাঁদের
অংশ পাবেন, সে সম্মান
অন্য কোন বংশের
প্রাপ্তি হয়নি ।
৪ নম্বর দলীল-
ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟْﺠِﺪَﺍﺭُ ﻓَﻜَﺎﻥَ ﻟِﻐُﻠَﺎﻣَﻴْﻦِ
ﻳَﺘِﻴﻤَﻴْﻦِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔِ ﻭَﻛَﺎﻥَ
ﺗَﺤْﺘَﻪُ
ﻛَﻨْﺰﻟَﻬُﻤَﺎ
অনুবাদ: হযরত খিজির
আলাইহিস সালাম
হযরত
মুসা আলাইহিস
সালামকে বললেন, এই
দেয়ালের
নিচে দু’টো ছেলের
গুপ্ত ধনভান্ডার
রয়েছে । তাঁদের
উভয়ের পিতা সৎ
কর্মপরায়ণ ছিলেন,
সে জন্য আপনার
রবের ইচছা যে, উভয়
ছেলে বালেগ
তথা প্রাপ্ত বয়স্ক
হবে এবং তারা তাদের
সম্পদ বের করবে ।
[সূরা কাহ্ফ-৮২]
এ আয়াতের
মাধ্যমে জানা গেল যে,
এ দুই এতিম শিশুর
প্রতি আল্লাহ
তা’আলা এ
কারণে দয়া পরবশ
হয়েছেন
যে, তাদের
পিতা মুত্তাকী-
পরহেজগ ার ছিলেন ।
প্রমানিত হলো যে,
নেককার ব্যক্তির
নেক আমলের
কারণে সন্তানরাও
উপকৃত হয় ।
সে কারনে নবী-ই
আকরামের নেক
আমলের
কারনে আওলাদে রাসূলগণ
অবশ্যই উপকৃত হবেন

৫. নম্বর দলিল-
ﻭَﺟَﻌَﻠْﻨَﺎ ﻓِﻲ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻬِﻤَﺎ ﺍﻟﻨُّﺒُﻮَّﺓَ
ﻭَﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏَ
অনুবাদ: আমি নূহ ও
ইব্রাহীম এর
সন্তানদের
মধ্যে নবূয়্যত ও
কিতাব রেখেছি ।
[সূরা হাদীদ-২৬]
হযরত নূহ আলাইহিস
সালাম ও হযরত
ইব্রাহীম
আলাইহিস সালাম- এর
পরে যত নবী এসেছেন
সবাই
তাঁদের সন্তানদের
মধ্যেই হয়েছেন
এবং সকল কিতাব
সহীফা তাদের উপরই
এসেছে। হযরত নূহ
আলাইহিস
সালাম ও হযরত
ইব্রাহীম আলাইহিস
সালাম- এর
কারণেই তাদের
সন্তানদের এই
শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন
হয়েছে ।
৬. নম্বর দলীল-
ﻳَﺎ ﺑَﻨِﻲ ﺇِﺳْﺮَﺍﺋِﻴﻞَ ﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ
ﻧِﻌْﻤَﺘِﻲَ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺃَﻧْﻌَﻤْﺖُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ
ﻭَﺃَﻧِّﻲ
ﻓَﻀَّﻠْﺘُﻜُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ
অনুবাদ: হে ইয়াকুবের
সন্তানগণ! ঐ সকল
নে’মাতকে স্বরণ কর,
যা আমি তোমাদের দান
করেছি ।
এবং সে সময়ে পৃথিবীর
মধ্যে তোমাদেরকেই
শ্রেষ্ঠত্ব দান
করেছি ।
[সূরা বাকারা-৪৭]

আয়াতে কারীমা দ্বারা স্পষ্ট
হলো যে,
সে সময়ে হযরত
ইয়াকুব আলাইস
সালাম- এর
কারনে তাঁর
বংশধরকে পৃথিবীর
শ্রেষ্ঠ সম্মান দান
করেছিলেন আর আজ
বিশ্বে হুজুর আকরাম
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামা এর
কারনেই
আওলাদে রাসূল
সকল বংশের উপর উঁচু
মর্যাদা ও
শ্রেষ্ঠত্বের
অধিকারী।
৭. নম্বর দলীল-
ﻭَﺇِﺫْ ﻗَﺎﻝَ ﻣُﻮﺳَﻰ ﻟِﻘَﻮْﻣِﻪِ ﻳَﺎ
ﻗَﻮْﻡِ ﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍْ ﻧِﻌْﻤَﺔَ ﺍﻟﻠّﻪِ
ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺇِﺫْ ﺟَﻌَﻞَ
ﻓِﻴﻜُﻢْ ﺃَﻧﺒِﻴَﺎﺀ ﻭَﺟَﻌَﻠَﻜُﻢ ﻣُّﻠُﻮﻛﺎً
ﻭَﺁﺗَﺎﻛُﻢ ﻣَّﺎ ﻟَﻢْ ﻳُﺆْﺕِ ﺃَﺣَﺪﺍً ﻣِّﻦ
ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ
অনুবাদ: এবং যখন
হযরত মূসা আলাইহিস
সালাম
বললো স্বীয়
সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে,
হে আমার সম্প্রদায়!
তোমাদের উপর
আল্লাহর অনুগ্রহ
স্বরণ করো যে,
তিনি তোমাদের মধ্য
হতে পয়গাম্বর
করেছেন,
তোমাদেরকে বাদশা করেছেন
এবং তোমাদেরকে তাই
দিয়েছেন যা আজ
সমগ্র জাহানের
মধ্যে কাউকেও
দেননি ।
[সূরা মাইদাহ-২০]
এ আয়াতের
মাধ্যমে প্রতীয়মান
হলো যে, কোন গোত্রের
মধ্যে নবীর আগমন
হওয়া এটা আল্লাহ
তা’আলার
একটি বিশেষ নে’মাত ।
যার থেকে অন্যান্য
গোত্র বঞ্চিত
। এ
কারণে আওলাদে রাসূলের
উপর বিশেষ রহমত
হচ্ছে নবীজী তাশরীফ
এনেছেন ।
৮. নম্বর দলীল-
ﻳَﺎ ﻧِﺴَﺎﺀَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻟَﺴْﺘُﻦَّ ﻛَﺄَﺣَﺪٍ
ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀِ ۚ ﺇِﻥِ ﺍﺗَّﻘَﻴْﺘُﻦَّ
অনুবাদ: হে নবীর
বিবিগণ!
যদি তোমরা খোদাভীরুতাকে অর্জন
করো,
তাহলে তোমরা অন্য
নারীর সমতুল্য নও ।
[সূরা আহযাব-৩২]
প্রমাণিত হলো যে,
নবী-ই আকরাম
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামা এর
নেককার বিবিগণ
পৃথিবীর
সকল সকল নেককার
বিবিগণের
চেয়ে উত্তম ।
কেননা তাঁরা নবীর
বিবি । এ কারণেই
আহলে বাইতে রাসূলের
মধ্যে যারা মুত্তাকী-
পরহেজগার
তাঁরা পৃথিবীর সকল
নেককার পরহেজগার
অপেক্ষা শ্র্র্র্রেষ্ঠ ।
কেননা তাঁরা নবী-ই
আকরামের
আওলাদ।
৯. নম্বর দলীল-
ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨْﻜُﻢُ
ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ
ﻭَﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ
ﺗَﻄْﻬِﻴﺮﺍً
অনুবাদ: হে আমার
আহলে বাইত! আল্লাহ
তা’আলা তোমাদেরকে সকল
প্রকার পাপ-
পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত
ও পূতঃপবিত্র
রাখতে চান ।
[সূরা আহযাব-৩৩]

আয়াতে কারীমা দ্বারা জানা গেল
যে, আল্লাহ
পাক রাব্বুল আলামীন
আহলে বাইতে রাসূলকে পুতঃপবিত্র
বলে ঘোষণা দিয়েছেন
কেননা তাঁদের সম্পর্ক
রাহমাতুল্লিল
আলামীনের
সাথে হয়েছে । এ
বৈশিষ্ট্য অন্য
কারো ভাগ্যে জুটেনি এবং জুটবেও
না। অন্যথায়
আওলাদে রাসূলের
বৈশিষ্ট্যই
বা কি রইলো ।
১০.নম্বর দলিল-
ﻭَﻣِﻦ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻨَﺎ ﺃُﻣَّﺔً ﻣُّﺴْﻠِﻤَﺔً ﻟَّﻚَ
অনুবাদ: হযরত
ইব্রাহীম আলাইহিস
সালাম আল্লাহর
দরবারে প্রর্থনা করেছিলেন
হে মা’বুদ! আমার
সন্তানদের মধ্যে এক
দলকে তোমারই অনুগত
কর ।
[সূরা বাক্বারা-১২৮]
এ দোয়ার
মাধ্যমে বুঝা গেল যে,
নবীর আওলাদগণ
কখনো পথভ্রষ্ট
হবে না । পক্ষান্তরে,
ইসলামের অন্যান্য
গোত্র সমূহ পথভ্রষ্ট
হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে ।
১১.নম্বর দলিল-
ﻟَﺎ ﺃُﻗْﺴِﻢُ ﺑِﻬَٰﺬَﺍ ﺍﻟْﺒَﻠَﺪِﻭَﺃَﻧْ ﺖَ
ﺣِﻞٌّ ﺑِﻬَٰﺬَﺍ ﺍﻟْﺒَﻠَﺪِ ﻭَﻭَﺍﻟِﺪٍ ﻭَﻣَﺎ
ﻭَﻟَﺪَ
অনুবাদ: হে মাহবুব!
আমি ঐ শহরের শপথ
করছি,
যে শহরে আপনি তাশরীফ
এনেছেন । আর আপনার
পিতা (পূর্ব পুরুষ)
ইব্রাহীমের এবং তাঁর
সন্তানের শপথ
।[সূরা বালাদ-১-৩]
এ আয়াতের অন্যতম
ব্যাখ্যা হচ্ছে,
এখানে ‘পিতা’
দ্বারা উদ্দেশ্য হল
হুজুর সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামা আর
‘সন্তান’
দ্বারা বুঝায়
আওলাদে রাসূল ।
প্রতীয়মান
হলো যে,নবী-ই
আকরামের শহর সকল
শহর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ
ও মর্যাদা সম্পন্ন
এবং নবীর বংশ সকল
বংশ
অপেক্ষা সর্বোতকৃষ্ট,যা আল্লাহ
তায়ালা শপথের
মাধ্যমে ফরমায়েছেন।
অথবা এটাও
হতে পারে যে,ওয়ালেদ
তথা পিতা দ্বারা হযরত
আব্দুল্লাহ ও হযরত
আমিনা রাদিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমা উদ্দেশ্য
আর সন্তান
দ্বরা উদ্দেশ্য
হচ্ছে রাসূলে করীম
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *