নারাজ। এরা ইসলামের প্রকৃত অনুসারী নয়। কলেমা, নামায, রোজা, হজ্ব, যাকাত ইসলামের বিধি-বিধানের কথা বলে এরা সরলপ্রাণ মুসলমানদের প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত করছে। ওলীদের প্রতি বিষোদগার করা, কটূক্তি ও সমালোচনা করা তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করাকে তারা খাঁটি তৌহিদ মনে করে। অথচ কোরআন-সুন্নাহ্র কোন নির্দেশনা উপেক্ষা করা, অবহেলা করা, কোন আয়াত তথা হাদীসে রাসূলকে অস্বীকার করে কখনো মুমীন হওয়া যায় না। প্রকৃত পক্ষে অলীদের বিদ্বেষ খোদাদ্রোহীতিার নামান্তর। কারণ নবীজির পূর্ণাঙ্গ আদেশের অনুসারী আল্লাহ্র পূণ্যান্ত সালেহীন মুমীন বান্দারাই ইসলামের ধারক বাহক। তাঁদের ত্যাগ, শ্রম ও ব্যবহারিক জীবনের আদর্শের বদৌলতে পৃথিবীর দিগ দিগন্তে ইসলামের মর্মবাণী তৌহিদ ও রিসালতের জয়গান সর্বত্র প্রচারিত ও প্রসারিত। ‘অলী’ শব্দটি কোন অভিধানবেত্তার উদ্বাবন বা আবিস্কার নয়। আরবি ঊনত্রিশটি বর্ণমালার তিনটি বর্ণ নিয়ে গঠিত শব্দটি পবিত্র ক্বোরআনুল করীমের আয়াতের অংশ বিশেষ। ক্বোরআনের কোন আয়াত বা আয়াতের অংশ অলীদের অস্তিত্ব, প্রয়োজনীয়তা, গুরত্ব মর্যাদা ও খোদাপ্রদত্ত ক্ষমতা অস্বীকারকারী কিভাবে মুমীন হতে পারে। তাঁরাতো মহান আল্লাহ্র সুসংবাদ প্রাপ্ত প্রিয় বান্দা। পবিত্র ক্বোরআনে তাঁদের মর্যাদা প্রসঙ্গে এরশাদ হয়েছে-
الا ان اولياء الله لاخوف عليهم ولاهم يخزنون- الذىين امنوا وكانوا يتقون- لهم البشرى فى الحيوة الدنيا وفى الاخرة-
অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহর অলীদের অতীত ও ভবিষ্যতের কোন চিন্তা নেই। যাঁরা ঈমান এনেছে এবং তাকাওয়া অবলম্বন করেছেন, ইহকাল ও পরকালে তাঁদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। [আল ক্বোরআন: সূরা ইউনুস, আয়াত- ৬২-৬৪] অলীর পরিচয় প্রদানে মহান আল্লাহ্ এরশাদ করেন-
اِنْ اولياؤه اِلّا المتقون-
অর্থ: মুত্তাকীরাই তাঁর ওলী।