ভালুকা প্রতিনিধি
০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৩৮
সত্তরোর্ধ বৃদ্ধকে লাথি মারছেন সওজ’র উপ-সচিব (বাঁয়ে)। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় সেই উপ-সচিব এটিএম কামরুল ইসলাম (ডানে)
ময়মনসিংহের ভালুকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় সত্তরোর্ধ এক বৃদ্ধকে লাথি ও গলাধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সচিব এটিএম কামরুল ইসলাম
তালুকদারের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় ওই বৃদ্ধের ছেলেকে সজোরে লাথি মারতে দেখা গেছে একটি ভিডিওতে। এ ঘটনার একটি ভিডিও এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সরকারের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার এমন আচরণে স্থানীয় সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। একজন উপ-সচিবের এহেন অসদাচারণে বিস্মিত বিভিন্ন মহল। তারা বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করছেন।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায় সওজ। এ সময় উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সওজ’র উপ-সচিব
পদমর্যাদার (সম্পত্তি ও আইন বিষয়ক কর্মকর্তা) কামরুল ইসলাম। উচ্ছেদ চলাবস্থায় ভালুকা পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভালুকা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকানের বারান্দার অংশ ভাঙচুর করতে যায় সহজের কর্মচারীরা। তখন মালামাল সড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে একটু সময় নিতে
যান ওই দোকানের স্বত্বাধিকারী সত্তরোর্ধ বৃদ্ধ আব্দুস ছালাম। এগিয়ে আসে তার দু’ছেলেও।
সময় কামরুল ইসলাম উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তোয়াক্কা না করে নিজেই অশ্রাব্য ভাষায়
গালিগালাজ করাসহ বৃদ্ধকে গলাধাক্কা দিয়ে বারান্দা থেকে বের করে আনেন এবং তার গায়ে লাথি মারেন। বাদ দেননি তার দু’ছেলেকেও। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এহেন আচরণে চমকে উঠে উপস্থিত দর্শনার্থীরা।
পরে এ ঘটনাটির কিছু ছবি ও ভিডিও ঘটনার দিন ফেসবুকে আপলোড করার পর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার আচরণের সীমাবদ্ধতা কতটুকু, এমন প্রশ্ন করেন অনেকে।
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, উচ্ছেদ অভিযান বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা উক্ত কর্মকর্তার হাতে রয়েছে। অবস্থা আরো বেগতিক হলে তার
দেখভাল করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও উপস্থিত ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই অবনতি ছিল না যে কারণে নিজের হাতে মারধরের কাজটি শুরু করতে হবে।
সওজ কর্মকর্তার এমন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন খোদ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম পিন্টু। তিনি তার ফেসবুক আইডিতে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট দিয়ে লেখেন- ‘উনি এমন
আচরণ করছেন কেন? গত ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার ভালুকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করলেন উপসচিব কামরুল ইসলাম সাহেব। অভিযানে সাধারণ মানুষ খুশি হলে ও কিছু কিছু বিষয়ে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।’