আপনারা যারা উনার বিরুদ্ধতা করেন। জানেন উনি কে? আপনারা যাদেরকে অনুসরণ করেন

আপনারা যারা উনার বিরুদ্ধতা করেন। জানেন উনি কে? আপনারা যাদেরকে অনুসরণ করেন

বর্তমানে তাদের সবাইকে এক জায়গায় রাখলে কি উনার সমান হবে। আমার মনে হয় না। আসুন উনার পরিচয় জানি?
,,,উনার নাম ড. সাইয়্যেদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসি ওয়া সিদ্দিকী জৈনপুরী।

উনি আওলাদে রাসুল। এবং হযরত আবু বক্কর ও হযরত আব্বাস (রা) এর বংশদর।
আপনারা যারা মনে করেন মাহফিলে ২ চারজন মুসলমান করে ইসলামিক স্কলার হয়েগেছেন। জানেন উনার বাপ দাদার হাতে বাংলা ও ভারতে ২ কোটি লোক ইসলাম গ্রহন করেছে।

যার নাম কেরামত আলি জৈনপুরী যাকে হাদিয়ে বাংলা বলা হতো।

সৈয়দ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসি যিনি বাংলাদেশে লেখা পড়া শেষ করে। চলে যান ভারতে সেখানে লাখনাউ থেকে আরবি সাহিত্যের উপর পি এইডি করে। চলে যান পাকিস্তান সেখান থেকে বিশ্বের সব চেয়ে বড় আলেম জাস্টিস মুফতি তাকি উসমানির কাছ থেকে হাদিসের সনদ গ্রহন করেন। এবং তাকি উসমানি আব্বাসি হুজুরের অনেক প্রশংসা করেন।

আসুন আব্বাসি হুজুরের অবদান বাংলাদেশে।

১.বাংলাদেশে সর্ব প্রথম মাহফিলে প্রশ্ন পর্ব শুরু করেন তিনি। বিগত ২০ বছর দরে। হাজার মাসালার সমাধান দেন প্রশ্ন পর্বের মাধ্যমে।

২. গত বিশ বছর থেকে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আন্দলোন করে আসছেন। অনেক মামলা খেয়েছেন তিনি শুধু কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে আন্দলোন করায়। এবং প্রথম আলো, কালের কন্ঠ, আর, এফ এল, প্রান, এদের বিরুদ্ধে আন্দলোন করে হামলা মামলার শিকার বাংলাদেশে তিনি প্রথম।

৩. ডেস টিনির বিরুদ্ধে উনি প্রথম মানুষকে সচেতন করেন এবং মামলা ও খান।

৪. বাংলাদেশে খিস্টান মিশনারী যখন মুসলমানদের কে টাকা দিয়ে খিস্টান বানাচ্ছে। তখন তিনি তাদের বিরুদ্ধে আন্দলোন করেন। তিনি নিজে মাঠে গিয়ে কাজ করেন বর্তমানে ও করতেছেন।

৫.ভন্ড মাজার পুজারি এবং ভন্ড পির দের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি কঠুর তিনি। রাজারবাগি, কুতুববাগি, দেয়ানবাগি সহ সবাইকে কাফের ফতুয়া দিয়ে মামলার শিকার প্রথমে তিনি। গত বছর রাজারবাগি ভন্ড পির কে কাফের ফতুয়া এবং বাহাসে আহবান করেন। পরে বাহাসে না এসে আব্বাসি হুজুরের বিরুদ্ধে তারা মামলা করে।

৬. তিনি বাংলাদেশে ২০ বাহাসে অংশগ্রহন করেন। এবং জয় লাভ করেন।

৭.বিগত কয়েক বছর যাবত তিনি বাতিল ফিরকা হিজবুত তাওহিদ, আহলে কোরআন, খিস্টান মিশনারীদের বিরুদ্ধে প্রতিটি মাহফিলে মানুষকে সজাগ এবং সচেতনকারী বাংলাদেশে তিনি।

৮. বর্তমানে তিনি জৈনপুরী খানদানের পির ও তার হাতে গড়া সংগঠন। তাহরীকে খতমে নবুওত ও জমিয়তু সাবাব এর আমির।

৯.বাংলাদেশের শ্রেষ্ট প্রতিষ্ঠান দারুন্নাজাতের প্রথম সুচনা কালে তিনি সবক প্রদান করেন। যেখান থেকে হাজার ছাএ বেড় হয়ে দীনের কাজ করছে।

১০. বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ নিজের গড়া একটি মাদ্রাসায় হাদিস, তাফসির, ফেকাহ পড়ান। এবং বর্তমানে সারা বাংলাদেশে উনার হাতে গড়া ছাএরা তাফসির করতেছেন।

১১. তিনি কয়েক বছর থেকে হেলিক্পটারে দেশে তাফসির করে যাচ্ছেন।

১২. ২০১৩ সালে না-স্তিক দের বিরুদ্ধে হেফাযতের সাথে আন্দলোন করেন এবং হামলার শিকার হন।

১৩.না-স্তিকরা যখন ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে কটাক্ষ করছিলো ঠিক তখনি তিনি তাদের সাথে লাইভ বাহাস করে বাংলাদেশের সকল আলেম উলামাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। এবং সেখানে ইসলাম ও মুসলমানের মহান বিজয় হয়ছে।

১৪.বাংলাদেশে হাতে গনা কয়েক জন আলেমদের মাঝে তিনি এক জন।

আসুন উনার বিরুদ্ধতা না করে দীনের সার্থে উনাকে ভালোবাসি। ভুলের উর্ধে উনি নন। আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দান করুক।

জিন্দবাদ তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশ।
সংগৃহীত বাংগার বাজার থানা শাখা কুমিল্লা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *