লালমোহন-তজুমদ্দিন উপজেলাকে নিয়ে গঠিত ভোলা-৩ আসন। এই দুই উপজেলায় এক সময় কেবল হাতে গুণা কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীই ছিল। তবে ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিলের একটি উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে ভোলা-৩ আসনে যেন আলোকবর্তিকা হয়ে আসেন আলহাজ্ব নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। সংসদ সদস্য হিসেবে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েই দুই উপজেলার আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে শুরু করেন। এমপি শাওনের নিরলস পরিশ্রমে কয়েক বছরের মধ্যেই আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাটিতে পরিণত হয় ভোলা-৩ আসন। বর্তমানে এ আসনে কেবল আওয়ামী লীগের জয়জয়কার। এসব নেতাকর্মীদের নিজের পরিবারের সদস্যদের মতোই আগলে রাখেন এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন।
এছাড়া, জোট সরকারের আমলে তৎকালীন সংসদ সদস্যের নির্দেশে লালমোহন-তজুমদ্দিন হয়ে ওঠে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। যার ফলে ভোলা-৩ আসন দেশব্যাপী সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে সুপরিচিতি পায়। এদিকে, ভোলা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সকল ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এমপি শাওন। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তাঁর শক্ত অবস্থান থাকায় বর্তমানে লালমোহন-তজুমদ্দিন উপজেলা শান্তির ঠিকানায় পরিণত হয়েছে।
এমনকি, ভোলা-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া পরপরই মাদক-ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স জারি করেন নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এরপর দুই উপজেলা থেকে এসব অপরাধ প্রবণতা কমতে শুরু করে। বর্তমানে যা প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এটি এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের এক অনন্য নজির।
তবে এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের এসব অর্জনকে বির্তকিত করতে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে নোংরা এক অধ্যায়ের। এক ব্যাংক লুটেরার পাল্লায় পড়ে যে অধ্যায়ের সঙ্গী হয়েছেন লালমোহন-তজুমদ্দিনের কিছু দলছুট ও স্বার্থান্বেষী আওয়ামী লীগ নেতারা। যারা ওই ব্যাংক লুটেরার টাকা ভোগ করতে সুকৌশলে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে লালমোহন-তজুমদ্দিনের মূল ধারার আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবী।
লালমোহনের বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতার অভিযোগ; ওই ব্যাংক লুটেরার কালো টাকায় লালমোহন-তজুমদ্দিনে দলছুট ও স্বার্থান্বেষী ওইসব নেতারা এখন মাদকের রমরমা ব্যবসা শুরু করেছেন। আর এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে দলছুটদের অপপ্রচারের শিকার হতে হয় স্থানীয় এমপি, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ প্রশাসনকেও। ওই ব্যাংক লুটেরা তার কালো টাকা সাদা করতেই এসব দলছুটদের দিয়ে মাদক ব্যবসা শুরু করেছেন বলেও দাবী লালমোহনের মূল ধারার আওয়ামীলীগ নেতাদের। ওই ব্যাংক লুটেরাকে নিয়ে গত কয়েক মাস আগে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকে একটি সংবাদও ছাপা হয়।
এদিকে, দলের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে লালমোহন-তজুমদ্দিনের শান্তির এই ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যাংক লুটেরাসহ তার বর্তমান অনুসারীদের বিরুদ্ধে দলের হাইকমাণ্ড থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলার মূল ধারার আওয়ামীলীগ নেতাদের।
লেখা: হাসান পিন্টু
সংবাদকর্মী, লালমোহন
১১-০৩-২০২৩ ইং