প্রতারণার মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের ২ বছরের জেল

প্রতারণার মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের ২ বছরের জেল

নিজস্ব প্রতিবেদক।।হেলেনা জাহাঙ্গীর প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে ২০২১ সালের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যপদ হারান তিনি।

প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী ও জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আসামিদের দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

গত ১৪ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য সোমবার দিন ঠিক করে।

২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে।

এর আগে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

চার্জশিটভুক্ত অন্য চার আসামি হলেন জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা খাতুন ওরফে অনি, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্লাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার।

২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে রাজধানীর পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন হেলেনা জাহাঙ্গীর, হাজেরা খাতুন, কামরুজ্জামান আরিফ, সানাউল্লাহ নূরী, মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এতে অভিযোগ করা হয়, আসামিরা সরকারের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও জয়যাত্রা টিভিকে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল দাবি করে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধি নিয়োগ করে মোটা অঙ্কের টাকা জামানত হিসেবে গ্রহণ করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন। প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছিলেন তারা।

ওই বছরের ২৯ জুলাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়।

প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েও আলোচনায় আসেন তিনি।

হেলেনা জাহাঙ্গীর প্রতিষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠন নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে ২০২১ সালের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্যপদ হারান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *