কহিনুর পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
উপজেলার লূথার্যান হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ নামের মা ও শিশু হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বোর্ড চেয়ারম্যান বনাম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রুপিংয়ের কারনে মামলা মোকদ্দমার কবলে জড়িয়ে এখন ধ্বংসের পথে।
এরই ধারাবিকতায় মঙ্গলবার(৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় লূথার্যান হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ এর উত্তর পাশের গেট সংলগ্ন থানাব্রীজ-জামলা সড়কের পাশে চাকুরী পুন:বহাল ও চেয়ারম্যানের অপসারনের দাবীতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে কর্মচারীরা।
এ সময় বক্তারা লূথার্যান হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ (এলএইচসিবি) এর বর্তমান বোর্ড চেয়ারম্যান ডাঃ হেলেন রেমাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও অপসারনকৃত কর্মচারীদের চাকুরি পুন:বহালের দাবী জানান।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন, মোঃ জসিম উদ্দিন, নিচিন্তা মন্ডল, জাকির হোসেন ও নমিতা রানী শীল প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, লূর্থ্যারান হেলথ কেয়ারের স্ব-ঘোষিত নির্বাহী পরিচালক হেলেন রেমা স্টাফদের বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে মামলা, হামলা, হয়রানি, অবিচার তথা বিনাকারণে জোরপূর্বক বকেয়া বেতননাদি পরিশোধ না করেই চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। প্রায় ১০ মাস যাবৎ বেতন ভাতা না পাওয়াতে আমরা ৫১ জন কর্মচারী অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছি।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ২০২২ খ্রি. তারিখে এলএইচসিবি এর চেয়ারম্যান হেলেন রেমা পটুয়াখালী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। ৩০মার্চ ২০২৩ তারিখে টেকনিশিয়ান আবদুর রহিম মৃধা, সিকিউরিটি গার্ড আবদুল মোতালেব মৃধা ও মোঃ হানিফ হাওলাদারকে চাকুরিচ্যুত করেন। চাকুরি পুন:বহালের জন্য চেয়ারম্যান ও তার অনুসারীদের কাছে ধর্নাদিলেও কোন সুরাহা হয়নি উল্টো তাদেরকে হুমকি ধুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় জীবনের নিরাপত্তা রক্ষায় আ: মোতালেব, নিত্যানন্দ গোমস্তা ও মোঃ জসিম উদ্দিন দুমকী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
লূথার্যান হেলথ কেয়ার বাংলাদেশে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গত বছর ১৮জানুয়ারী দুমকী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৪ সেপ্টেম্বর এনজিও বিষয়ক ব্যুরো মহাপরিচালক গ্রেড-০১, কে.এম তারিকুল ইসলাম ও চলতি বছর ২৭ মার্চ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম তদন্ত করে নানা অনিয়ম দূর্নীতির সত্যতা তুলে ধরে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এ বিষয়ে হেলেন রেমার সাথে তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করার পর ফোন রিসিভ করে কথা বলতে রাজি হননি।
পরিচালক গ্রানার মারাক বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে। কাকে বাদ দিবে, কাকে রাখবে সেটা তো আমার বিষয় নয়, আমি নতুন যোগদান করেছি আমার সাথে তারা (মানববন্ধনকারীরা) কথা বলুক, আমি সমাধানের চেষ্টা করব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান সাংবাদিককে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতা বকেয়া রয়েছে যা অমানবিক।
কহিনুর বেগম
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
০৪/০৪/২০২৩.