দুমকীতে ইউপি নির্বাচন, আ.লীগের ৭ নেতা বহিষ্কার!!

দুমকীতে ইউপি নির্বাচন, আ.লীগের ৭ নেতা বহিষ্কার!!


পটুয়াখালীর দুমকীতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে উপজেলার ৭ আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার( ৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আকন সেলিম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

চিঠিতে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২নং লেবুখালী ও ৫ নং শ্রীরামপুর ইউনিয়নে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করা এবং দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগে দুমকী উপজেলা আ’লীগ থেকে তাঁদেরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

৫ জুলাই (বুধবার) বিকেল ৪টায় উপজেলা আ’লীগ ও ইউনিয়ন আ’লীগ আয়োজিত দলীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় জেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আঃ মান্নানের উপস্থিতিতে লেবুখালী ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আ.লীগ মনোনীত নৌকা’র প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সংগঠনের ৪৭(১১) ধারায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদেরকে দলের সকল পদপদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিস্কৃতরা হলেন- দুমকী উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও লেবুখালী ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেন মোল্লা, সহ-সভাপতি অহিদুর রহমান সহিদ মুন্সী, যুব‌ ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান মোল্লা (জাকির), লেবুখালী ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ জলিলুর রহমান তালুকদার, উপজেলা আ.লীগ সহ-সভাপতি মোঃ ফোরকান আলী মৃধা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউনুছ আলী মৃধা ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন হাওলাদার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বহিষ্কৃত নেতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, আমাকে নতুন করে বহিষ্কার করার কিছু নাই। আমি তো দল থেকে আগেই পদত্যাগ করেছি।

বহিষ্কৃত আরেক নেতা মোঃ ফোরকান আলী মৃধা বলেন, আমাকে কেন বহিষ্কার করা হয়েছে তা বুঝিনা। দল থেকে আমাকে কোন সতর্কবার্তা দেয়া হয়নি। আমার ভাই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এ কারনেই আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মোঃ ইউনুচ আলী মৃধা বলেন, আমাকে কেন বহিষ্কার করা হলো তা আমার বোধগম্য নয়। আমার চাচা নির্বাচনে প্রার্থী হলেও কোন সভা সমাবেশ বা প্রচার প্রচারণায় আমি অংশগ্রহণ করিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ জানান, আ.লীগের গঠনতন্ত্র মোতাবেকই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করার ফলে নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তেমন পরবে বলে মনে হয় না।

কহিনুর বেগম
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *