বাবার লাশ নিতে আসছি, আমার আর কেউ রইল না’বাদল সাহা, প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জবাদল সাহা,

বাবার লাশ নিতে আসছি, আমার আর কেউ রইল না’বাদল সাহা, প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জবাদল সাহা,

বাবার লাশ নিতে আসছি, আমার আর কেউ রইল না
গত চার বছর ধরে মানসিক অসুস্থ ছিলেন সাবেক নৌ সদস্য ডা. শামছুল আলম (৭০)। মানসিক অসুস্থতার কারণে গত দুই বছর আগে অবসরে যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও কোন ফল মেলেনি। মানসিক চিকিৎসা নিতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না সাবেক এ নৌ সদস্যের।

জানা গেছে, সাবেক এ নৌ-সদস্যকে সরকারিভাবে মানসিক চিকিৎসা দিতে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ভোর রাতে খুলনার সামচুল হক রোডের বাসা থেকে আনতে যান ঢাকার কেরানীগঞ্জের মডার্ন সাইকেটিক হাসপাতালের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার রাত চারটার দিকে সাবেক এ নৌ সদস্য ডা. শামছুল আলমকে নিয়ে খুলনা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা। সকাল সাতটার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদরের পূর্ব মিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা এস্কেবেটর বহনকারী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অ্যম্বুলেন্সে থাকা ডা. শামছুল আলমসহ আরও তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও তিনজন।

নিহত ডা. শামছুল আলম বরিশাল সদরের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবার নিয়ে খুলনার সামচুল হক রোড এলাকায় বসবাস করতেন। নিহত ডা. শামছুল আলমের ছেলে রিশাদুল আলম মোবাইল ফোনে বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিক অসুস্থ ছিলেন। তিনি সাবেক নৌবাহিনীর ডাক্তার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মানসিক অসুস্থ থাকার কারণে দুই বছর আগে অবসরে যান তিনি।

আরও পড়ুন : অ্যাম্বুলেন্স-এস্কেভেটর বহনকারী ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৪

রিশাদুল আরও জানান, খুলনায় বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাতে কোন কাজ হচ্ছিল না। তাই সরকারি ভাবে চিকিৎসা দিতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি হাসপাতাল থেকে কয়েকজন গত রাতে আমাদের বাসায় আসেন। ভোর চারটার দিকে তারা আমার বাবাকে নিয়ে খুলনার বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এ সময় আমাদের পরিবারের অন্য কেউ সঙ্গে ছিল না। পরে সকাল নয়টার দিকে আমরা খবর পাই আমার বাবা আর নাই। বাবার লাশ নিতে আসছি। আমার আর কোন ভাই নেই। মা ও অসুস্থ। আমার আর কেউ রইল না। আমাকে এখন কে দেখে রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *