বাউফলে যুবলীগ নেতার দোকানেহামলা!!

বাউফলে যুবলীগ নেতার দোকানেহামলা!!

কহিনুর বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।

  পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার ৭নং বগা ইউনিয়নের বগা লঞ্চ ঘাট এলাকায় ঢাকাগামী একটি বাসের কাউন্টার স্থাপনের  ঘটনাকে কেন্দ্র করে বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মীরের (৩৫) দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়ে।

০৮.০৭.২৩ইং তারিখ রোজ শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ২০-৩০ মিনিট ধরে এ হামলা চালানো হয়।

ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতা জুয়েল মীর বলেন, ‘বগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানের নির্দেশে এবং তার উপস্থিতিতে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার দোকানের একটি ফ্রিজসহ প্রায় ২লাখ টাকার মালামাল ভাংচুর করে। হামলাকারীরা এসময় দোকানের ক্যাশ থেকে নগদ ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

বগা তদন্ত কেন্দ্রের টহল পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলা চালানো হলেও পুলিশ এগিয়ে আসেনি।

   এ ঘটনায় জুয়েল মীরের ভাগ্নে ইয়াসিন মোল্লা (২৩) ও সেজ ভাই রাজিব (২৫) আহত হয়। এর মধ্যে ইয়াসিনকে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

  বগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান বলেন, ঢাকা-বগা ও দশমিনা রুটের তেঁতুলিয়া নামের একটি যাত্রীবাহি বাসের বগা লঞ্চ ঘাট এলাকায় কাউন্টার স্থাপনের জন্য ওই দিন  সন্ধ্যার পর স্থানীয় আ‌‌ লীগ কার্যালয়ে মালিক পক্ষের প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা চলছিল। এসময় জুয়েল মীরের ভাই সোহেল মীর উত্তেজিত হয়ে চেয়ার ছুড়ে মারেন। তখন একটু উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরপর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য নিজেরাই নিজেদের দোকান ভাংচুর করে  আমার উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। পরে ফেসবুক লাইফে এসে জুয়েল মীর আমার ও আমার বাবার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালিয়েছেন। যা সত্য নয়।

   এ ব্যাপারে বগা তদন্ত কেন্দ্রের ইচার্জ মোঃ নিরু মিয়া বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। আজ (রবিবার) কর্মস্থলে এসেছি। ঘটনাটি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে জানবো। টহল পুলিশ দায়িত্ব অবহেলা করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *