গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে সংবাদ প্রকাশের জেড়ে দুই সাংবাদিক কে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা, থানায় অভিযোগ

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে সংবাদ প্রকাশের জেড়ে দুই সাংবাদিক কে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা, থানায় অভিযোগ

বিলকিছ আক্তার রুবি ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

সাংবাদিক নাদিমের রক্তের দাগ না শুকাতেই আবারও গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে দুই সাংবাদিক কে হত্যার উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী হামলার শিকার। গাজীপুর কোনাবাড়ীতে দৈনিক সময়ের কথা প্রত্রিকার সাংবাদিক মোঃ মফিজুল ইসলাম ও মোঃ রহিমকে পত্রিকায় নিউজের প্রকাশের জেড়ে আক্রমন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাংবাদিকদ্বয় জানান,১ নং আসামী অরন্যর সাথে পূর্ব পরিচিত সেই সুবাদে সাংবাদিক মোঃ মফিজুল ইসলামকে একটি নিউজ প্রকাশ করার জন্য তথ্য দিবে বলে মোবাইলে ডাকে। সাংবাদিকদ্বয় সরল বিশ্বাসে তাদের কথা বিশ্বাস করে আসতে রাজি হই। তারা আমাদেরকে যমুনা গার্মেন্টসের সংলগ্ন হক মেডিক্যালের ভিতরে আসতে বলে ,তার কথামতো আমার সঙ্গী রহিমকে নিয়ে আমি ঐ স্থানে যাই। যাওয়ার পরে দেখতে পাই মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী মনির এবং তার সাঙ্গপাঙ্গ আলিম, তুশার, করম, হরি দাশ, ছনেট সহ ৪/৫ জন আগে থেকেই বসে আছে।তারা এলাকায় বি এন পি জামাতের এজেন্ট হিসাবে বেশ পরিচিত।সাংবাদিক মফিজুল আরও বলেন-আমি ওখানে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসী মনির চেয়ার থেকে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বলতে থাকে-আমাদের বিরুদ্ধে নিউজ করার চেষ্টা করছিস তোর এতবড় সাহস ?এই বলে সাংবাদিক মফিজুল ও রহিমকে কাঠের রুল দিয়ে বেদম পেটাতে থাকে। এতে তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত যখম করে। সাংবাদিকের পকেটে থাকা নগদ সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।আসামীদের এলোপাথাড়ি মারের আঘাতে রহিম এর এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে মারাত্মক ক্ষতি হয়। সাংবাদিকের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে আসামীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে পরে সুযোগ মতো পাইলে তোদের মেরে লাশ গুম করে ফেলবো। আর যদি এ বিষয়ে থানা পুলিশ করিস বা পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ করিস তাহলে তোদের যে কি অবস্থা করি পরে বুঝতে পারবি। পরে এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসাই নিয়ে আসে। পরে দৈনিক সময়ের কথা পত্রিকার সম্পাদক ও পরিবারের আত্মীয় স্বজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *