বাউফলে ভিটি বাগান জবরদখল পূর্বক একাধিক চারাগাছ কেটে বেধড়ক মারধর

বাউফলে ভিটি বাগান জবরদখল পূর্বক একাধিক চারাগাছ কেটে বেধড়ক মারধর

শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুইয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক।

পটুয়াখালী জেলা বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে সতি ভাই ভাবীর নিজ ভিটি বাগান জবরদখল পূর্বক একাধিক চারাগাছ কেটে উজাড় করে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সতি ননদ ও নোনদাইয়ার বিরুদ্ধে। এতে মারধরে আহত হয়ে ভাই মানিক গাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২২ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে কালাইয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ শৌলা গ্রামের গাজী বাড়িতে। আহত মোঃ মানিক গাজী (৩৫), পিতা মৃত আব্দুল হাসেম গাজীর ছেলে।

আহত মানিক গাজীর স্ত্রী মোসাঃ রুমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি ওই ভিটি বাগান আমাদের দীর্ঘ বছর ধরে ভোগদখলে। তাতে আমরা ধান সিদ্ধ করার জন্য বড় তাফাল জাতীয় চুলা বানিয়ে প্রতি বছর ধান সিদ্ধ করে আসছি। এবং আমাদের ওই জায়গায় বিভিন্ন ধরনের চারাগাছ রোপণ করেছি। কিন্তু আজ শনিবার কোনও কথা নেই বলা নেই অমনি আমার সতি ননদ হালিমা বেগম ও নোনদাইয়া মন্নান আকন তার ছেলে মেয়ে সহ আরও লোকজন কে নিয়ে ওই ভিটি বাগান জবরদখল পূর্বক চারাগাছ গুলো কেটে উজাড় করছে এমন সময় আমি ও আমার স্বামী বাধা বিপত্তি করলে তারা এলোপাতাড়ি লাঠি, রড ও শাবল দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এখন আমার স্বামী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাউফল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অভিযোগ দিয়েছি। আমি বিচার চাই।

এদিকে মানিক গাজী বেশ আহত হওয়ায় তিনি কোনও কথা বলতে পারেননি। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে ৪/৫টি মেহগনি চারাগাছ কেটে অন্য জায়গায় নিয়ে রেখেছে। এবং জবরদখল পূর্বক বাশের খুটি দিয়ে আড় বেধে রেখেছে। আর তাফাল জাতীয় বড় চুলাটি ভেঙে গুড়িয়ে ফেলেছে। এসময় উপস্থিত স্থানীয়রা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ননদ হালিমা বেগম ও নোনদাইয়া মন্নান আকন বলেন, আমার জায়গা আমরা দখল পূর্বক আমাদের লাগানো গাছ কেটে ফেলেছি। আর তারা আমাদেরও বেধড়ক মারধর করেছে।

স্থানীয় মেম্বার জসিম উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি যা ঘটেছে তা সত্য। আমি এসে ততক্ষণাত দু’পক্ষকে সামলিয়ে নিয়েছি এবং এ সমস্যার সমাধান করে দিবো দ্রুত চেয়ারম্যান দ্বারা তা বলে দিয়ে চলে এসেছি।

এবিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা বাউফল থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, আহত মানিক গাজীর স্ত্রী মোসাঃ রুমা বেগম এর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *