অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে বল ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে এমন ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এরপর ৪৬ মিনিট বৈঠকে করেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সঙ্গে।
সূত্র আরো জানায়, যেকোনো নামেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থা আইন সংসদে পাশ করে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার বিষয়টি মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠকে তাদের জানান। এক পর্যায়ে রাষ্ট্রদূত জানান মার্কিন সরকারের সুপারিশ আমলে না নিলে তারা বাংলাদেশ থেকে কোনো গার্মেন্টস পণ্য আমদানি করবে না বরং সরকারের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।
চলতি বছরের ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসানীতি ঘোষণা করেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিরা মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।