পটুয়াখালীতে যৌতুক না দেয়ায় স্বামীর নির্যাতন!!

পটুয়াখালীতে যৌতুক না দেয়ায় স্বামীর নির্যাতন!!


কহিনুর পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।


পটুয়াখালীর সদর উপজেলায় যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় আতিকা আক্তার (৩১)নামের এক গৃহবধুকে আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে পাষান্ড স্বামী। এমনকি শরীরের গোপণাঙ্গে গুরুতর জখম করা হয়েছে,কাউকে দেখাতে যে না পারে। ২ লাখ টাকার যৌতুকের কারণে আতিকা স্বামীর সংসার করার রঙিণ স্বপ্ন এখন বির্বণ হয়ে গেছে। বুধবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার মৌকরন ইউনিয়নের মৌকরন গ্রামের আজিজ তালুকদার বাড়িতে এঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্র জানাগেছে, কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলি ইউনিয়নের পখিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মৃধা মেয়ে আতিকার সাথে মৌকরন গ্রামের আজিজ তালুকদারের ছেলে তুহিন তালুকদারে সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সন্তানের সুখের জন্য দিনমজুর আব্দুর রশিদ মৃধা ধার-দেনা করে স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্রসহ প্রায় ২ লক্ষ টাকার মালামাল দেয় মেয়ে-জামাইকে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে আতিকার স্বাভাবিক জীবন। মাঝে মধ্যে মারধরসহ খেতে না দেয়ার মত অমানবিক জীবন কাটাতে হতো আতিকাকে। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক দেওয়ার অক্ষমতার কথা ভেবে আতিকা দিনের পর দিন অনেকটা নিরবেই অত্যাচার নির্যাতন সয়ে যায়। এনিয়ে বাড়িতে একাধিক সালিশ মিমাংসার চেষ্টা হলেও কোন শুরাহ হয়নি। অবশেষে তুহিন তালুকদার বায়না ধরে তাকে ব্যবসা করার জন্য আতিকার বাবার বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা দিতে হবে। এতে অস্বীকার করলে নির্যাতনের খরগ নেমে আসে গৃহবোধু আতিকার ওপর। এমনকি শরীরের গোপন অঙ্গে কৌশল করে পেটানো হয়েছে। যেন কাউকে দেখাতে না পারে। এসময় স্বামী তুহিন তালুকদার(৪০)শাশুরী ফুলবানু (৬২) দেবর- রাসেল তালুকদার(৩৫) ভাসুর শাহিন তালুকদার মারধর করে আতিকাকে। পরে গৃহবোধু আতিকা বেগম ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ আতিকাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় আজ বৃহপতিবার আতিকা বাদী হয়ে স্বামী তুহিন তালুকদার (৪০), শাহিন তালুকদার(৪৫),রাসেল তালুকদার(৩৫) ফুলবানু (৬২) কে আসামী করে নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল,পটুয়াখালী কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, গৃহবধুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কহিনুর বেগম
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
০৪.০৮.২৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *