দিনাজপুর হিলিতে স্থলবন্দরে বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম

দিনাজপুর হিলিতে স্থলবন্দরে বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম

মোঃওয়াজ কুরনী দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে হঠাৎ করে বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে বন্যার কারনে পেঁয়াজের সংকট থাকায় সরবরাহ কমের কারনে দামটা বেড়েছে। অপরদিকে পণ্যটির দাম বাড়ায় বিপাকে পরেছেন পাইকার থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রেতারা।

আজ সোমবার (৭ আগস্ট) হিলি বন্দর ও বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের তুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ অনেকটাই কম। আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকট ও এলসি না পাওয়ায় ও ভারতে বন্যার কারনে পেঁয়াজের সংকট রয়েছে তাই তারা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারছেন না।তাই দামটা বাড়তে শুরু করেছে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক সহসভাপতি শাহিনুর রেজা শাহিন বলেন, হিলি স্থলবন্দরে এর আগে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কম ছিল।কারন আমদানি পর্যাপ্ত ছিল। বর্তমানে ডলার সংকট ও এলসি পযাপ্ত পাওয়ায় আমদানি কম হচ্ছে। এছাড়াও ভারতে বন্যার কারনে পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। তাই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ভারতে।

বাজারে পেঁয়াজ বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন, কয়েকদিনের তুলনায় হিলিতে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কম রয়েছে। তাই দামটাও বেড়েছে। তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। আগে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকা কেজি সেই পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে।

হিলি বন্দর ও খুচরা বাজারে কয়েকজন ক্রেতা বলেন, অন্যান্য জিনিসের তুলনায় পেঁয়াজের দামটা একটু স্বাভাবিক ছিল। তবে দুই তিন থেকে এর দামটাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সবকিছুর দাম যদি এতো বাড়ে তাহলে আমরা কি ভাবে খাব?

বন্দরের আরেকজন পাইকার বলেন, আমরা হিলি স্থলবন্দর থেকে প্রত্যেকদিন পেঁয়াজ কিনে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাই। হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে। এভাবে দাম বাড়লে আমাদের বাহিরের পার্টিরা পেঁয়াজ কিনতে চায়না। আমরা খুব বিপদে আছি। এক চান্ছে ৮- থেকে ১০ টাকা কেজিতে বেড়েছে। আগে যে পেঁয়াজ কিনতাম ৩০ থেকে ৩২ টাকায়, সেই পেঁয়াজ এখন কিনতে হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়।

কাষ্টমস তথ্য মতে, গতকাল রোববার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ভারতীয় ৬৮ ট্রাকে ২ হাজার ১২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *