মোঃ শহিদুল ইসলা শাওন, আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলী পৌরসভার সামনের আমতলী দোন বা চাওড়া বদ্ধ মৎস্য জলমহলের পানিতে এ্যামোনিয়া গ্যাসে পানি নষ্ট হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে। মরা মাছের দুর্গন্ধে লেকের পাশে বসবাসকারীরা চরম দুভোর্গে পড়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, আমতলী পৌরভবনের সামনের আমতলী দোন বা চাওড়া বদ্ধ মৎস্য জলমহল প্রায় ৩০ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত । জলমহলের তিন পাশে শতশত পরিবারের বসবাস। পরিবারগুলোর গোসলসহ সকল কাজে এই লেকের পানি ব্যবহার করেন। গত ২ মাস ধরে লেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে। মাছ মরে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। লেকের সড়কের চলাচলরত মানুষদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, শতশত মাছ মরে জলমহলের মধ্যে ভাসছে। জলমহলের পূর্ব পাড়ের এনায়েত করিম বলেন,লেকের পানি কোন কাজে ব্যবহার করতে পারছি না। মরা মাছের দুর্গন্ধে থাকতে পারছিনা।
জলমহলের ইজারাদার মো.মিরন খান বলেন, জলমহলের তিন পাড়ের পরিবারগুলো তাদের সকল বর্জ্য জলমহলের ভেতরে ফেলায় পানিতে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। এছাড়া পৌর শহরের অনেক ড্রেনের বর্জ্যও ড্রেনের মাধ্যমে জলমহলের পানিতে ফেলা হচ্ছে তা থেকে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে মাছ মারা যাচ্ছে। এই ২ মাসে তার ৪০ লাখ টাকার মাছ মারা গেছে বলে ও তিনি দাবী করেন। মিরন খান আরো বলেন জলমহলের মধ্যে দিয়ে পানি নিষ্কাষনের জন্য উত্তর পাশে একটি ড্রেন রয়েছে । ড্রেনটি দিয়ে পানি ঠিকমত আসা যাওয়া করতে পারছেনা। কারন ড্রেনের মুখের ভাগ উচু। নদী থেকে পানি ঠিকমত জলমহলে আসা যাওয়া করতে পারেনা। ড্রেনের সম্মুখ ভাগ যদি একটু নিচু করে দেওয়া হয় তবেই জলমহলে নদীর পানি আসা যাওয়া করতে পারেন। তিনি আরো বলেন যে নদীর পানি লেকে প্রবেশ করতে পারলে মনে হয় পানি ভাল হয়ে মাছ মরা বন্ধ হতো । এব্যাপারে ইজারাদার মিরন খান আমতলী পৌর সভার মেয়র ও বরগুনা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, এ্যামোনিয়া গ্যাসে মাছ মারা যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখে মাছ চাষীকে জরুরী ভিত্তিতে মাছ রক্ষার জন্য পরামর্শ দেওয়া হবে।