ঈমান নিয়ে পুলিশ হয়েই মরতে চাই! আপনি যখন শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে যান,

ঈমান নিয়ে পুলিশ হয়েই মরতে চাই! আপনি যখন শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে ছুটিতে যান,

তখন রাতে আপনার বাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে থেকে আমি পুলিশ আপনার শহরের বাড়িটা পাহারা দেই।

আপনি যখন সড়ক দুর্ঘটনায় পরে রাস্তার পাশে যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকেন, আমি পুলিশ তখন আপনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করি । আপনার মৃত্যু দেহটা আপনার স্বজনকে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।

আপনার নাবালক মেয়েটি যখন অন্যের হাত ধরে কোথাও চলে যায়, আমি পুলিশ রাত জেগে পরিশ্রম করে আপনার মেয়েটাকে উদ্ধার করে আপনার হাতে তুলে দেই।

আপনার বউ যখন অভিমান করে বাপের বাড়ি চলে যায়, তখন এই আমি পুলিশ বুঝিয়ে -শুনিয়ে আপনার বউকে আপনার কাছে এনে দেই।

আপনার ছেলে- মেয়ে যখন হারিয়ে যায়, কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না, তখন আমি পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনার ছেলে মেয়েকে খুঁজে বের করে দেই।

আপনি যখন গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে ভয় পান, তখন আমি রাস্তায় টহল করে আপনার বাড়ি ফেরার পথ সুগম করি।

ঈদে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় যখন আপনি যানজটে পরেন, তখন আমার ছুটি বন্ধ করে স্ত্রীর সন্তানের চিন্তা না করে আপনার বাড়ি ফেরার পথ তৈরি করতে যানজট নিরসন করি।

কোন কারণে আপনার ভাইয়ের অর্ধ গলিত , পঁচা মৃতদেহ রাস্তায় পরে থাকলে, কিংবা আত্মহত্যা করে ঝুলে থাকলে, আমি পুলিশ উদ্ধার করে আপনার কাছে পৌঁছে দেই।

আমি পুলিশ কখনোই আপনার ভাইয়ের মৃতদেহ দেখে “আলহামদুলিল্লাহ” বলি না বা কোথাও লিখি না।

বাংলাদেশ পুলিশ একটা পরিবার। এ পরিবারে যারা সদস্য আছেন, তারা কেউ আপনার ভাই, কেউ ভাতিজা, কেউবা ছেলে, কেউ বা আত্মীয়-স্বজন।
একটা বড় পরিবারে দু একজন খারাপ স্বভাবের থাকতেই পারে । সেটা আপনার পরিবারেও থাকতে পারে ।

যিনি খারাপ, তার ফল তিনি কর্মজীবনে এবং পরকালে পাবেন এবং পাচ্ছেন।

মোবাইলটা আপনার, মেধাও আপনার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোন কিছু লেখার অধিকারও আপনার আছে।

আমি পুলিশ মরে গেলে, আপনি “ইন্নালিল্লাহ” না লিখে আলহামদুলিল্লাহ লিখবেন। এটাও আপনার অধিকার।

তবুও
আমি গর্বিত, আমি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য!

পুলিশ হয়ে ঈমান নিয়ে মরতে চাই!
সবার জন্য শুভকামনা সবসময়!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *