আজকে শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মদিনের মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের পক্ষে থেকে শুভেচ্ছা

আজকে শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মদিনের মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের পক্ষে থেকে শুভেচ্ছা

সত্যের খোঁজে আমরা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মদিন আজ। ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে তার জন্ম হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য। সে সময় শেখ রেহানা তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে পশ্চিম জার্মানিতে ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় শেখ রেহানাও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ধানমন্ডিতে গৃহবন্দি ছিলেন। শেখ রেহানা যিনি ‘ছোটো আপা’ নামে পরিচিত, তার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে একটি সাধারণ জীবনধারা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন।

শেখ রেহানা অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিককে বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। তিনি আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি। মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির এমপি এবং কনিষ্ঠ মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তি লন্ডনভিত্তিক কন্ট্রোল রিস্কসে গ্লোবাল রিস্কস এনালাইসিস এডিটর হিসেবে কাজ করছেন।

শেখ রেহানা ১৯৭৯ সালে তার ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের জন্য প্রথম বিশ্বব্যাপী আহ্বান জানানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৯ সালে সুইডেনের স্টকহোমে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু হত্যা এবং ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচারের আহ্বান জানান।
শেখ রেহানা স্টকহোমে ১৯৭৯ সালের ১০ মে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রধান, জাতিসংঘ প্রধান এবং আন্তর্জাতিক এনজিও’র উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে একটি সর্ব-ইউরোপীয় বাকশাল সম্মেলনে বক্তৃতার মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সে সময় শেখ হাসিনা দিল্লিতে ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন সামরিক সরকারের ওপর বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টির জন্য আওয়াজ তুলতে ইউরোপে থাকা তার ছোট বোনকে সেখানে পাঠিয়েছিলেন। সেই আবেগঘন ভাষণের মধ্য দিয়ে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের ওপর বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টির জন্য তার কণ্ঠস্বর উত্থাপিত হওয়ায় সেই ঘটনা ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *