দৌলতখানে একই বাড়িতে পরপর ৩ বার চুরি, শেষবার আটক ৪

দৌলতখানে একই বাড়িতে পরপর ৩ বার চুরি, শেষবার আটক ৪


এম এ মান্নান : ভোলার দৌলতখান পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে হাসপাতালের পশ্চিম পাশে এবং বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সিকদার বাড়িতে এক মাসের মধ্যে ৩বার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
৫ সেপ্টেম্বর এই বাড়িতে মৃত ওলিউলাহ সাজু মিয়ার বাসায় শেষবার চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ৯ সেপ্টেম্বর রাতে চুরের হোতা আমির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আমির হোসেনের মোবাইলে কল আসে। মোবাইল কলের উপর ভিত্তি করে
আরও ৩ জনে নাম পাওয়া যায়। কৌশলে তাদেরকে কল করে আনা হয় সিকদার বাড়িতে। এসময় রাত ১১ ঘটিকায় উপস্থিত জনতা আমির হোসেন, মাকসুদ ওরফে মাসুদ, সুমন ও সুজন নামের ৪জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
আমির হোসেন (বীর শ্রেষ্ট মোস্তফা কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী) ৪ নং ওয়ার্ড দৌলতখান পৌরসভা , মাকসুদ (চরফ্যাশন), সুমন (চরফ্যাশন), সুজন (বোরহাউদ্দিন)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের এমন পরিচয় পাওয়া যায়।
ঘটনা স্থলে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দৌলতখান সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদেরকে ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টায় স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে আগস্ট মাসের শেষের দিকে একই বাড়িতে ফয়েজ মাস্টার এর বাসায় চুরি হয় এবং কয়েক দিনের মধ্যে সাজু মিয়ার ছোট ভাই মৃত আরজু সিকদারের বাসায়ও চুরি হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এর সত্যতা স্বীকার করে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের ভাষ্যমতে এই চুরি একই ধরনের এবং একই চোর চক্রের।
তাদের মতে, এই ভয়ানক চুরি পিছনে বড় ধরনের কারো নেতৃত্ব বা ইন্দন রয়েছে। অন্যথায় বারবার একই বাড়িতে এরকম চুরি হতে পারেনা।
এদিকে মৃত অলিউল্লাহ সাজু মিয়ার স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ভুক্তভোগী রওয়ানক জাহান বলেন, ডাক্তার দেখাতে আমাদেরকে ঢাকা যাওয়া হয়েছিল। ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে দেখি আমাদের ঘরের আলমিরা, জামা কাপড়, আলনা-খাট তছনছ করা হয়েছে। খোঁজাখুঁজি করে দেখা গেছে আমাদের ১০-১২ ভরি স্বর্ণ অলংকার, ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার ক্যাশ, কয়েকটি দলিল, আমার চাকুরী অবসরের কাগজপত্র, স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ, মুদি মালামাল, ফ্রিজে রাখা মাছ-মাংস সবকিছু চুরি হয়ে গেছে।” তিনি আরো বলেন আমার স্বামী অলিউল্লাহ সাজু মিয়া ভোলার দৌলতখানে আমাদের বাড়ির দরজায় অবস্থিত বেসরকারি বিদ্যাপিঠ বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কামাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি এই আমির হোসেনকে অত্যন্ত ভালোবেসে বিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণী পদে চাকুরী দিয়েছেন। তার দ্বারা এমন কাজ হবে আমরা ভাবতেই পারিনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুরির টাকা দিয়ে তারা নেশাদ্রব্য সেবন করে। আর এই নেশার কারনেই আজকে এ অবস্থা।
তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, দৌলতখান থানার অফিসার ইনচার্জ সত্য রঞ্জন খাসকেল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *