কোটি ভক্তদের কে এতিম করে এই দিন মাওলারে দিদারে চলে গেলেন
মুর্শিদ কেবলা হুজুর গাউছুল ওয়ারা হযরতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ছুফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল্ হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল্-মাইজভান্ডারী (কঃ)
১৭ই রমজান,১৪৩২ হিজরী, ২ রা ভাদ্র ১৪১৮ বঙ্গাব্দ ১৭ আগস্ট, ২০১১ খ্রিস্টাব্দে বাবাজান ক্বেবলা, মহান আল্লাহর প্রেমময় সান্নিধ্যে চলে গেলেন।
এরপর ১৯ শে রমজান শুক্রবার বাদ জুমআ বেলা ৩ টার দিকে মাইজভানডার দরবার শরীফে জানাজা শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। একে তো বাংলা ভাদ্র মাস ও পবিত্র রমজান মাস, তার উপর প্রচণ্ড রোদে ও গরমে সকলে পিপাসায় কাতর হয়ে পড়েন।
গাউছিয়া রহমানিয়া মইনীয়া মঞ্জিল থেকে বাবাজান ক্বেবলার পবিত্র কফিন মোবারক হযরত গাউসুল আযম মাইজভাণ্ডারী (কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ) এর দরবার শরীফে নিয়ে যাবার সময়,প্রচন্ড রোদে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়লে তখন মহান আল্লাহর মহিমাবলে জানাজা শরীফের কিছুক্ষণ পূর্বে হঠাৎ একটি ছায়া এসে আকাশ ছেয়ে ফেলে। গুড়ি গুড়ি মৃদু বৃষ্টির মত হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। যেন আকাশ থেকে গোলাপজল ছিটানো হচ্ছে স্প্রের সাহায্যে। উপস্থিত জনতার উষ্ণ দেহমন তখন ঠান্ডা পরশের প্রশান্তিতে ভরে যায়।
এ রহমতের ছায়া ও হিমেল হাওয়া বাবাজানের আধ্যাত্নিক তছররুফাত ও কারামতের ফলশ্রুতি বৈ কিছু নয়। সে দিন এ কারামতের কথা সকলের মুখে মুখে ছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষ বাবাজানের মাহাত্ম্য সে দিন সচক্ষে উপলব্ধি করেছেন।
হযরত গাউসুল আ’যম বাবাভান্ডারী ক্বেবলা (কাদ্দাছাল্লাহু ছিররাহুল আজিজ) এর পবিত্র জানাযা শরীফের প্রাক্কালেও অনুরূপ পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়েছিল।
স্মরণকালের বৃহত্তম সেই জানাযা শরীফে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে সমস্ত বিল্ডিং এর ছাদ, রাস্তা, মাঠসহ সুদূর নাজিরহাট পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়।
বাবাজান ক্বেবলা এর অছিয়ত মোতাবেক একমাত্র খেলাফত প্রাপ্ত পরম স্নেহের আদরের পুত্র, তার স্থলাভিসিক্ত, নবী বংশের ৩১ তম নূরানী আওলাদ-এ-পাক, শাহ্জাদায়ে গাউছুল আজম হযরতুলহাজ্ব আল্লামা শাহ্ছুফি সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্ হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল্-মাইজভান্ডারী (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) জানাযা শরীফে ইমামতি করেন।দরবারের সমস্ত আওলাদে পাকগন জানাযা শরীফে উপস্হিত ছিলেন।