মোঃ আল আমিন ইসলাম নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের,
ধ্বংসের মুখে নেকবক্ত বাজারের মনসার এর ঘাট এলাকা, কিছুদিন গত হল প্রতিনিয়ত চলছে বালুচুরির ঘটনা। এই বালুগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে তুলে রাখেন পরবর্তী বাঁধের কাজে সংস্কারের জন্য, কিন্তু দিনরাত বালুগুলো চুরি করে নিয়ে যায় বালুচর চক্র। এ যেন দেখার কেউ নেই, তারা তাদের মন মত যাচ্ছে এবং বালুগুলো নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দেয়, ওই এলাকার মানুষদের জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলে। তাদের এই ট্রাক্টর গাড়ি শব্দের কারনে ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারতেছে না আমাদের বাচ্চারা, এবং ঘুমাতে পারছি না আমরা। তাদেরকে কোন বাধা প্রদান করতে গেলে তারা নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন আমাদের। এবং গেলো এক বছরে ট্রাক্টর গাড়ির নিচে পড়ে দুজন মানুষের মৃত্যু হয় একটি শিশু বাচ্চা, ৩০ থেকে ৩৫ বছরের লোক, এভাবেই চলতে থাকলে না জানি কখন কি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে, বলে জানান এলাকাবাসীরা। এবিষয়ে পানি উন্নয়নবোর্ডের লোকজনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করিতেছি। কিন্তু এ বিষয়ের এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানান যে তাদেরকে নিষেধ করার পরেও, বালুগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে। শুধু তারা বালু চুরি করে থেমে নেই এখন শুরু করেছে, বুড়ি তিস্তা সংলগ্ন তে ফসলি জমি সেখান থেকে এখন মাটি উত্তোলন শুরু করেছেন। এলাকাবাসীরা বলেন এবারে বন্যা নেই, তাই আমরা পানিতে ডুবে যায়নি, কিন্তু যেভাবে মাটিগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ট্রাক্টর গাড়ির মালিক মোঃ লিফোন ইসলাম, (৩৫) পিতা আনসারুল হক, ২ নাম্বার মোঃ এনামুল ঘাটিয়াল (৭০) এবং অজ্ঞাত অনেক ট্রাক্টর গাড়ির মালিক আছে তাদের নাম, সহকারে আবারো আসতেছে রিপোর্টে। এই বালু এবং মাটিগুলো নিয়ে যাচ্ছেন, তার ফলে দেখা যাচ্ছে সামনের বারে বন্যা আসলে প্রায় ৫০ থেকে, ৬০ টি পরিবার ডুবে যাবে, বলে জানান এলাকাবাসীরা। কিন্তু কোন কর্মেই বন্ধ হচ্ছেনা বালু মাটি চোরের সিন্ডিকেট দের এই ব্যবসা। না জানি কত বড় সিন্ডিকেটের এখানে হাত রয়েছে, তবে আশাবাদী এটার সঠিক তদন্ত করে আমাদের উপজেলা প্রশাসন এর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমরা এ আশাই করি জনস্বার্থে এলাকাবাসীরা।