দুঃখ ভরাক্রান্ত। জানালেন, ৮৮ তে অক্টোবরে বাবাজান ওফাত হবেন। “বাবাজান তোমাকে বলেছেন?” জিজ্ঞেস করতেই শুরু করলেন-
কদিন আগে স্বপ্নে দেখি বাবাজানের কাছে গিয়েছি। বাবাজান আমার কাছে ষাট হাজার টাকা চাইলেন। এত টাকা কোত্থেকে দিব? আমার কাছে কি আছে এত টাকা? এ চিন্তা করতেই স্বপ্ন ভেঙে যায়। যারপরনাই মনটা বিষাদে ছেয়ে গেল। কদিন ধরে কান্নাকাটি করলাম, কিছুতেই মন বসছেনা। বাবাজান এ কথা কেন বললেন? এই বিদেশ থেকে এখন এর সমাধা কি করি! ভাবতে ভাবতেই প্রকাশ্যে বাবাজান স্বয়ং আমার রুমে উপস্থিত। বাবাজান জানালেন, তিনি ৮৮ সালের অক্টোবরে চলে যাবেন।
এরপর বাবাজানের কাছে আরজি রেখে অনুরোধ করার নিমিত্তে সিরাজ ফকির চেষ্টা করলেন দেশে আসার, নিয়মতান্ত্রিক জটিলতায় পারলেন না। আমিও চেষ্টা করেছি, পারি নি।
বেশক’দিন আগে এভাবেই সেদিনের স্মৃতিচারণ করছিলেন দাদা হুজুর কেবলা শাহসূফি আলহাজ্ব সৈয়দ মোহাম্মদ আবুল হাশেম মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ) কেবলা। হযরত শাহসূফি সিরাজুল হক ফকির (র.) ছিলেন বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত শাহসূফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) কেবলা কাবার নৈকট্যপ্রাপ্ত, একজন কামেল অলি। দাদা হুজুর কেবলার সঙ্গে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব ছিল সিরাজ শাহ ফকিরের। প্রবাস জীবনে উনারা কাছাকাছি ছিলেন।
সত্যের খোঁজে আমরা