সত্যের খোঁজে আমরা
অর্জন করেছেন, এত গোল, এত এওয়ার্ড, এত খ্যাতি… তাও আপনার জীবনে কি কোনো অপ্রাপ্তি আছে?”
রোনালদো জবাব দিয়েছিলেন, “আমি সেরা হয়েছি ঠিক, কিন্তু আমার বাবা দেখে যেতে পারেননি যে তার ছেলে সেরা হয়েছে…”
এ কথাটি বলে রোনালদো ছোট ছেলের মতো কেঁদে দিয়েছিলেন। রাস্তা পরিষ্কার করা ছেলে যখন পৃথিবীর সবচেয়ে সফল একজন ব্যক্তিত্ব হয়ে যান, সেই সাফল্য বাবা দেখতে না পারার মতো বেদনা আর কীইবা আছে?
বাবার লাশ রেখে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলা কোহলিও বোধহয় এমন এক আফসোসে পুড়তে থাকেন সবসময়..
কোহলির বাবা শচীনকে পছন্দ করতেন। এদিকে ওয়ানডে ক্রিকেটে আর একটি সেঞ্চুরি করলেই কোহলি ছুঁয়ে ফেলবেন শচীনের ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড, অথচ তার বাবা এই অর্জন দেখার জন্য থাকবেন না..
ছেলে গত বছরই রিকি পন্টিং এর মতো কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে গেছে আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির দিক দিয়ে, অথচ বাবা স্টেডিয়ামে “কোহলি, কোহলি” চিৎকার করার জন্য ছিলেন না..
যে ছেলেটা দিল্লির অলিগলিতে ছোলেবাটুরে খেয়ে খেয়ে ঘুরতেন, সে ছেলেটার নামে এখন দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে একটা প্যাভিলিয়ন আছে…VIRAT KOHLI PAVILION…দেখার জন্য শুধু ছেলেটার বাবা নেই..
বিরাট আকাশের দিকে তাকিয়ে হয়তো আশাবাদী হয়ে ভাবেন, বাবা সব দেখছেন… আচ্ছা তাঁরা কি আসলেই সব দেখেন?