পটিয়ায় নৌকার প্রার্থীর আল্টিমেটামে ওসি নেজামকে প্রত্যাহার—-

পটিয়ায় নৌকার প্রার্থীর আল্টিমেটামে ওসি নেজামকে প্রত্যাহার—-

সত্যের খোঁজে আমরা

ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর আল্টিমেটামের পর পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নৌকার প্রার্থী স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ওসির দ্রুত বদলির আল্টিমেটাম দেন।

এর আগে নৌকার প্রার্থী নির্বাচন কমিশন বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. জহিরুল ইসলাম পটিয়া থানার ওসির বদলি চেয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এতে চট্টগ্রাম জেলা ডিবি পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমানকে ওসি হিসেবে পদায়নের জন্য নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়৷ এটি কার্যকর না হওয়ায় পরবর্তীতে গত ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টার দ্বিতীয় দফায় রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই সার্কেল অফিসের জসীম উদ্দিনের নাম প্রস্তাব পাঠানো হলেও কার্যকর করেনি৷
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে আল্টিমেটাম দেওয়ার পর ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়। বর্তমান ওসি তদন্ত মো. সোলায়মান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে নৌকার প্রার্থী ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তার অনুসারীদের ওসি নেজাম উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে হয়রানি করছে। তফসিল ঘোষণার ৩/৪ দিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী পছন্দের ওসি নেজামকে পটিয়া থানায় নিয়ে আসেন৷ পক্ষপাতিত্ব করার বিষয়টি বুঝতে পেরে ইসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে বদলির প্রস্তাবনা দিলেও অদৃশ্য কারণে কার্যকর করছে না ইসি। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও নৌকার সমর্থকদের হয়রানি করলে এবং এর জন্য অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটলে ওসি দায়ী থাকবে। ওসিকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করে ভারপ্রাপ্ত ওসি কিংবা নতুন আরেকজন নতুন ওসিকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দাবি জানান।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক নারী এমপি চেমন তৈয়ব, জেলা আওয়ামী লীগের

সহ-সভাপতি আয়ুব আলী, যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবদুল মতিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মাহবুবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মো. আবু তৈয়ব, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ম ম টিপু সুলতানা চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, পটিয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. তিমির বরণ

চৌধুরী, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রাশেদ মনোয়ার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দীন, পটিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর আলম, সহ-সভাপতি কাউন্সিলর গোফরান রানা, সাধারণ সম্পাদক এম এন এ নাছির, পটিয়া পৌর যুবলীগের সভাপতি নুর আলম ছিদ্দিকী এবং সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *