স্টাফ রিপোর্টার ;সিমান্ত মোল্লা ;
পদ্মানদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে পারছেন না প্রশাসন। একাধিক বার পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখা যাচ্ছে না।
শরীয়তপুরে জাজিরা উপজেলার পদ্মানদীর চরাঞ্চলে প্রতিনিয়ত দিনভর এবং রাতের অন্ধকারে কাঁটার দিয়ে ড্রেজারিং করে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন। পদ্মা নদীবর্তী চরের মাটি ও বালু কেঁটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে।
প্রশাসন একাধিক বার পদ্মানদীতে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার জব্দ করেছেন বেশ কয়েক বার। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বারংবার সতর্ক জারি করেছেন। বালু উত্তোলনকারী চক্রের সাথে যাঁরা যাঁরা জড়িত রয়েছে তাদের আটক করে জরিমানা করা হয়।
এতো পরিমাণে অভিযান পরিচালনা করার পরেও থেমে নেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। ড্রেজার দিয়ে উত্তোলনকৃত বালু বাল্কহেড গভীর রাত পর্যন্ত লোড হয় পরে ভোর হওয়ার আগেই বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় বিক্রির উদ্দেশ্যে।
জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার বেপারী বলেন আমি বরাবরই ড্রেজারের বিরুদ্ধে। পদ্মা নদীতে মাঝে আমার ইউনিয়ন আমার জনগণ নিয়ে থাকার মত একটি চর অবশিষ্ট আছে শুধু কুন্ডের চর।
নদীতে ড্রেজিং হয় সেজন্যে চিটারচর পদ্মায় বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তিনি আরও বলেন আমি স্পষ্টভাবে বলেছি যেভাবেই হোক পদ্মানদীতে অবৈধ কাঁটার ড্রেজার চলতে দেওয়া যায় না।
এদিকে, মাঝিরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন, সাংবাদিকদের কাছে বলেন, গত মাসে থেকে আমাদের ব্যবহৃত নৌযান নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। নদীতে অবৈধ ড্রেজারিং বা ডাকাতি হওয়ার খবর পেলে। আমাদের টলারের মাধ্যমে নদীতে অভিযান পরিচালনা হয়। তিনি আরও বলেন খবর পাওয়ার সাথে সাথে অভিযান পরিচালনা করি। আমরা অভিযান চালাচ্ছি এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন ।
জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন আমরা নদীতে অভিযান পরিচালনা করছি। তিনি আরও বলেন আমি নিজেই সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি পদ্মানদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।